
প্রিন্ট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২০ এএম
নিষেধাজ্ঞার দুই সপ্তাহেও চাল মেলেনি ভোলার ৬৫ হাজার জেলের

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ভোলার সাগর ও নদীমুখে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। তবে নিষেধাজ্ঞার দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও সরকারি সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত চাল পাননি জেলার ৬৫ হাজারের বেশি নিবন্ধিত জেলে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগেই ফিশিং বোট ও জাল নিয়ে তীরে ফিরেছেন জেলেরা। কেউ কেউ বোট ও জাল মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকলেও অধিকাংশ পরিবার এখন আয়-রোজগারহীন অবস্থায় দিন পার করছে।
চরফ্যাশনের চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের জেলে মোসলেউদ্দিন মাঝি বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। নিষেধাজ্ঞার কারণে আয় বন্ধ, কিন্তু চাল এখনও পাইনি।
সদর উপজেলার ভেদুরিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন মাঝি জানান, ২০ বছর ধরে মাছ ধরি, কিন্তু এখনও জেলে হিসেবে নিবন্ধন পাইনি। বারবার অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি।
চরফ্যাশনের আকবর মাঝি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগপন্থী চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা দলীয় বিবেচনায় কার্ড করে দিয়েছেন। প্রকৃত অনেক জেলে বাদ পড়ে গেছেন।
জেলেরা জানান, এ সময়ে তাদের আয় বন্ধ থাকে, অথচ সংসার চালাতে হয়, কিস্তি পরিশোধ করতে হয়—এ অবস্থায় সরকারি চাল না পাওয়ায় তারা মারাত্মক সংকটে পড়েছেন।
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জেলে মহসিন মাঝি বলেন, কিস্তির টাকা দিতে পারছি না, পরিবার চালানোই মুশকিল।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবে এখনো জেলেদের সহায়তা হিসেবে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, বরাদ্দ পেলেই বিতরণ শুরু হবে, তবে কবে তা আসবে—সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।