ছেলে-মেয়েকে ছেড়ে ঈদ কাটবে দেশের বাইরে: হাসান ফেরদৌস জুয়েল
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই একে অপরের মাঝে ভালবাসা বিলিয়ে দেওয়ার মূহুর্ত। এই ঈদে সবাই পুরোনো সকল কিছু ভুলে গিয়ে মিলিত হয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। শত বছর ধনে বাঙ্গালী জাতি এটাই দেখে আসছে। যুগেরচিন্তা ২৪’র এবারের ঈদ আড্ডায় কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল।
ঈদ উদযাপন প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, এবারের ঈদ উদযাপনটা একেবারেই ভিন্ন। আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য এই ৩০ মে আমরা দুজন ভারতে যাচ্ছি। প্রথমবারের মতো পরিবার পরিজন ছেড়ে দেশের বাইরে আমাদের ঈদ করতে হচ্ছে। আমার ছেলে, মেয়ে, মা তারা এখানেই অন্যদের সাথে ঈদ করবে। খারাপ লাগছে, তবে যেতেই তো হবে। আমার মেয়ের জন্মদিন ১ জুন। সেটিও একসাথেও উদযাপন করা হচ্ছেনা। ছেলে-মেয়ে, মাকে ছেড়ে এমন ঈদ এবারই প্রথম।
ঈদ দেশে না করলেও ঈদে সবার জন্য কেটাকেটার পর্ব ইতিমধ্যেই শেষ। এই ডিপার্টমেন্টটা পুরোটাই আমার স্ত্রীর। তবে আমার ছেলে মেয়ে আগেই বলে রেখেছে মা অসুস্থ তাই তারা কিছু কিনবেনা।
আগের ঈদ উদযাপনগুলো এখনো মনে দাগ কাটে। ঈদের আগের তিনদিন আর ঈদের পরের তিনদিন পুরোটাই চলতো ঈদ উদযাপন। আমাদের গোষ্ঠি অনেক বড়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সব থাকতো ঈদ আয়োজনে। খেলায় অংশগ্রহণ করতো ভিন্ন মোড়কে। বিবাহিতরা একদিকে আর অবিবাহিতরা একদিকে। উৎসবের পুরোটাই আমরা উসুল করে ছাড়তাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডাটাও জম্পেশ হতো।
ঈদের বিশেষ স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার বাবা আমাদেরকে সাথে নিয়ে ফরিদপুর থেকে ঈদের বেশ আগেই রওনা হতেন। তবে তিনি পদ্মা নদী পার হতেন নৌকায় চড়ে। উত্তাল পদ্মা নৌকায় পাড়ি দিতে কত রঙের ও ভয়ের স্মৃতি যে মনে গেঁথে রয়েছে তা বোঝানো বেশ মুশকিল। তবে এতো বছর পরেও উত্তাল পদ্মা নৌকায় করে পাড়ি দেয়ার স্মৃতিগুলো মনে গেঁথে রয়েছে। ওই ঈদগুলো ছিলো খুব খুব স্পেশাল।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, এবারের ঈদে সবার সাথে দেখা হচ্ছেনা। তাই ঈদে সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। আমার ও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে ঈদ উদযাপন করবেন, সুস্থ্য ও নিরাপদ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
- স্বদিচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সবাই উন্নতি করতে পারে: আচল আহমেদ
- গরুর চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে : রাজিব
- গরুর গলায় দাম লিখে ঝুলিয়ে রাখতাম : রনি
- সেদিনের পর থেকে আজও ছাগলের মাংস খাইনা : হোসনে আরা বীনা
- কোরবানির কথা মাথায় আসলেই ভয় লাগে : আবুল কাউসার আশা
- পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো কী না শঙ্কা আছে : শাহেদ
- দাম যেই শুনেছে সেই বলছে ‘ভাই ঠকছেন’: মোরছালীন বাবলা
- কখনো কোরবানির পশুর হাটে যাওয়া হয়নি : সাংসদ হোসনে আরা বাবলী
- ঈদ সালামি এখন কেউ দিতে চায় না, তাই জোর করে নেই : শাহ নিজাম
- ছোটবেলার ঈদে হৃদয় ছোঁয়া আনন্দ ছিল : এড.আওলাদ
- বাবা হাটে যাওয়ার পর রেললাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম : অ্যাডভোকেট পলু
- বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই এখন অভিভাবক : আলেপ উদ্দীন
- এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চাই : খোরশেদ
- গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি আমার খুবই পছন্দ : কাউন্সিলর রুহুল আমি
- নেত্রী কারাগারে আলাদাভাবে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই : গিয়াস উদ্দিন