বাবা হাটে যাওয়ার পর রেললাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম : অ্যাডভোকেট পলু
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র ঈদুল আজহা। শান্তি, সৌর্হাদ্য আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এ উৎসব। ঈদে সব ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার দিন।
ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর উদ্দেশে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশুকোরবানি করা মুসলমানদের অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য। ঈদুল আজহা উপলক্ষে যুগের চিন্তা ২৪’র সঙ্গে এবারের ঈদ উদযাপন, কোরবানির পশু কেনা, কোরবানীর তাৎপর্য, শৈশবের কোরবানির ঈদ ও নানা স্মৃতি, রাজনৈতিক প্রস্তুতিহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ও বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মো.জসিম।
ঈদুল আজহায় নিজ এলাকায় পরিবারে সবার সাথেই ঈদ উদযাপন করবেন বলে জানান তিনি। অ্যাডভোকেট হাবীব আল মুজাহিদ পলু বলেন, ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি তাই ঈদের এই আনন্দকে আরো প্রানবন্ত করে রাখার জন্য বন্দর সোনাকান্দায় নিজ বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়েই ঈদ উদযাপন করে থাকি।
ঈদের সারাটা দিন ব্যস্ততায় কাটে জানিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়েই একসাথে ঈদের আনন্দ করা হয়। সকালে সন্তানদের নিয়ে ঈদের জামায়াত পড়তে যাই। জামাত শেষে সবার সাথে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করি। পরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হই। কোরবানি শেষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাংস বিতরণ করি। এভাবেই সারাদিনটাই কেটে যায় । তবে সন্ধার পর এলাকার ধনী-গরীব দিন-মজুরদের সাথে ঈদ উদযাপনে একত্রিত হই।
শৈশবের মতো কোরবানির ঈদের পশু কেনার সেই উত্তেজনা এখনো ভীষন কাজ করে জানান তিনি। তিনি বলেন, এটাতে অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করতো। সেই আবেগেই এখন আমি বাড়ির পরিবারের সাথে হাটে যাই। তবে পশু কেনার ক্ষেত্রে দাম কোন বিষয় না। পছন্দের মধ্যেই কোরবানির পশু কেনা হবে। মূলত বন্দর সোনাকান্দা হাট থেকেই এবারো গরু কিনবো।
ঈদুর আজহায় শৈশবের স্মৃতিচারণ করে অ্যাডভোকেট হাবীব আল মুজাহিদ পলু বলেন, আমরা একান্নবর্তী পরিবার তাই পরিবারের দিক বিবেচনা করে কাইকারটেকের বড় হাট থেকেই গরু কিনতে হয়। ছোটকালে বাবা আমাকে সাথে নিয়ে গরু কিনতে নিয়ে যেত না।
বাবা হাটে যাওয়ার পর কখন গরু নিয়ে আসবে সেই অপেক্ষায় বন্দর রেইললাইন গিয়ে অপেক্ষা করতাম। ঈদ আসলেই সেই দিনের কথা আমার আজ ও খুব মনে পড়ে। ঈদ আসলে শৈশবের সেই দিন গুলোতে যেতে মনে চায় । কিন্তু ইচ্ছে থাকলে তো তা সম্ভব না । তারপরও শৈশরের সেই দিনটি যদি আবার ফিরে পেতাম কতই না আনন্দ লাগতো! যদি পারতাম তাহলে অবশ্যই ফিরে যেতাম!
ঈদুল আজহা বা কোরবানীর ঈদে হলো মাংস খাওয়াই মুখ্য বিষয় নয় বলে জানান বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি পলু। তার মতে, ঈদে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আেল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি দিয়ে প্রিয় কোন কিছু ত্যাগ করা। আল্লাহকে রাজি খুশি করার নামই কোরবানি।
ঈদের পর রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে হাবীব আল মুজাহিদ পলু বলেন, যেহেতু আমি রাজনীতি করি সেক্ষেত্রে আমি চাই আমার পছন্দের দল আওয়ালীগীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসুক। আর এজন্য যা যা করণীয় আমি তাই করতে প্রস্তুত আছি।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবেন আওয়ামীলীগ সরকারকে পাশ করার জন্য আমরা তার হয়ে কাজ করবো। দলীয় জয় মানে নিজের জয়। তবে আমার প্রাণের দাবী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা যারা আছেন ত্রাা নৌকার জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।
ঈদে সবাই যেন পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপওার সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেটাই প্রত্যাশা করেন হাবীব আল মুজাহিদ পলু। তিনি বলেন, ঈদুল আজহায় আমি সবার প্রতি আহবান রাখবো, আমরা সকলে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরের সাথে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে পবিত্র ঈদ উদযাপন করবো। এটাই মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা। আমার পক্ষ হতে সবার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
- স্বদিচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সবাই উন্নতি করতে পারে: আচল আহমেদ
- গরুর চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে : রাজিব
- গরুর গলায় দাম লিখে ঝুলিয়ে রাখতাম : রনি
- সেদিনের পর থেকে আজও ছাগলের মাংস খাইনা : হোসনে আরা বীনা
- কোরবানির কথা মাথায় আসলেই ভয় লাগে : আবুল কাউসার আশা
- পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো কী না শঙ্কা আছে : শাহেদ
- দাম যেই শুনেছে সেই বলছে ‘ভাই ঠকছেন’: মোরছালীন বাবলা
- কখনো কোরবানির পশুর হাটে যাওয়া হয়নি : সাংসদ হোসনে আরা বাবলী
- ঈদ সালামি এখন কেউ দিতে চায় না, তাই জোর করে নেই : শাহ নিজাম
- ছোটবেলার ঈদে হৃদয় ছোঁয়া আনন্দ ছিল : এড.আওলাদ
- বাবা হাটে যাওয়ার পর রেললাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম : অ্যাডভোকেট পলু
- বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই এখন অভিভাবক : আলেপ উদ্দীন
- এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চাই : খোরশেদ
- গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি আমার খুবই পছন্দ : কাউন্সিলর রুহুল আমি
- নেত্রী কারাগারে আলাদাভাবে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই : গিয়াস উদ্দিন