গরু না কেনা পর্যন্ত বাবার আশে পাশে ঘুরঘুর করতাম : এড.মাজহারুল হক
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ মানেই অন্য রকম এক মিলন মেলা। শত ব্যস্ততার মাঝে ঈদ উৎসবের কমতি নেই। ঈদের আমেজ অন্যান্য কাজ এখন নিতান্ত গৌণ। কোরাবনির হাটগুলোতে, রাস্তাঘাটে কিংবা বাড়িতে ঈদের জৌলুশ চোখে পড়ে।
সবাই ঈদ উৎসব সম্পর্কে অবগত।আর এবারের ঈদুল আজহা উদযাপন নিয়ে যুগের চিন্তা ২৪’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী ফোরামের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বন্দর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মাজহারুল হক । সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে মো.জসিম।
অ্যাডভোকেট শাহ মাজহারুল হক জানান, ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই খুশি। তাই ঈদের এই আনন্দকে উপভোগ করার জন্য প্রতিবারের ন্যায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বন্দর কুড়িপাড়া ২৭নং ওয়ার্ড নিজ বাড়িতে উদযাপন করবো।
এখনও গুরু কেনা হয় নাই জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের দুইদিন আগে গরু কিনতে হাটে যাই। আমরা মুলত চৌরাপাড়া লক্ষণ খোলার হাট থেকেই গরু কেনা হয়। ছোটবেলয় যখন গরু কিনতে বাবার সাথে হাটে যেতাম তখন খুব ভাল লাগতো।
কিন্তু বাবা বেঁচে নাই তাই ঈদ আসলে বার বার বাবার কথা মনে করে। কোরবানির গরু কেনার সময় বার বার মনে পড়ে আমি তখন খুব ছোট তখন বাবাকে বলতেই থাকতাম বাবা কখন গরু কিনবেন! গরু না কেনা পর্যন্ত বাবার আশে পাশে ঘুরঘুর করতাম।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ছোটবেলার ঈদের দিন গুলোর কথা এখনও খুব মনে পড়ে। সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম তাহলে হয়তো খুব ভাল লাগতো! সেসময়ে আমার অনেক বন্ধু বান্ধব সহপাঠী ছিল! এক সাথে ঈদের দিনটিকে আমেজে পরিনত করার জন্য কতই না আনন্দ করতাম! একসাথে সারাদিন ঘুরতাম ।একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করতাম। অতীতের সেই দিন গুলোকে মনে করতে গিয়ে সেই ছোট বেলার বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যায়।
ঈদের সারা দিন ব্যস্ততায় কাটে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ঈদের দিন একটু অন্যরকম ভাবে কাটাতে হয়। সকাল বেলা উঠেই ঈদের নামাজের জন্য ঈদ গাহে যাই। নামাজ পড়ে সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি। পরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হই। কোরবানির মাংস কাটাকাটি শেষ হলে অসহায় গরীর ও নিজের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করি।
ঈদুল আযহার তাৎপর্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদুল আযহা মানে ত্যাগ বা কোন কিছু বিলিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ নিজের জীবনের মূল্যবান কোন কিছুর উৎসর্গ করা। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রিয় ছিল তার হৃদয়ের সন্তান সেই প্রিয় সন্তানকে আল্লাহর হুকুমে কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। সেই থেকে কোরবানি দেওয়াটা মানুষের জন্য ফরজ করে দিয়েছে। অর্থাৎ কোরবানি মানে নিজের কুপ্রবৃত্তি দুর করে আত্মত্যাগ করা।
ঈদের পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন সম্পর্কে তিনি জানান, বিএনপি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এই দলটিকে ভুলন্ঠিত করার জন্য বর্তমান সরকার চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।
কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি নামের দলটির নাম মুছে যাবে। তাই এখনই উচিত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দলন গড়ে তোলা। তাই ঈদের পরে কেন্দ্র ঘোষিত নির্দেশে আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্য বদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যেমে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের পতনের মাধ্যমে বিএনপিকে পুনরুদ্ধার করবো। আর এজন্য আমি প্রস্ত’ত আছি।
ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ । ঈদ মানে খুশি। তাই ঈদের এই আনন্দকে সবাই মাঝে বিলিয়ে দিয়ে চাই। সবাই যেন মিলিত ভাবে ঈদের এই দিনটিকে ভাল ভাগে উপলদ্ধি করতে পারে এটাই আমার কামনা।
এসময় তিনি বলেন বিএনপির চেয়ারপারসর্ন বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেক নেতারা আছেন যারা বিনা কারণে জেল হাজতে তারা যেন শোককে শক্তিতে রুপান্তিত করে ঈদের এই দিনটিতে ভাল ভাবে কাটাতে পারে সেটাই আমার প্রত্যাশা।
- স্বদিচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সবাই উন্নতি করতে পারে: আচল আহমেদ
- গরুর চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে : রাজিব
- গরুর গলায় দাম লিখে ঝুলিয়ে রাখতাম : রনি
- সেদিনের পর থেকে আজও ছাগলের মাংস খাইনা : হোসনে আরা বীনা
- কোরবানির কথা মাথায় আসলেই ভয় লাগে : আবুল কাউসার আশা
- পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো কী না শঙ্কা আছে : শাহেদ
- দাম যেই শুনেছে সেই বলছে ‘ভাই ঠকছেন’: মোরছালীন বাবলা
- কখনো কোরবানির পশুর হাটে যাওয়া হয়নি : সাংসদ হোসনে আরা বাবলী
- ঈদ সালামি এখন কেউ দিতে চায় না, তাই জোর করে নেই : শাহ নিজাম
- ছোটবেলার ঈদে হৃদয় ছোঁয়া আনন্দ ছিল : এড.আওলাদ
- বাবা হাটে যাওয়ার পর রেললাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম : অ্যাডভোকেট পলু
- বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই এখন অভিভাবক : আলেপ উদ্দীন
- এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চাই : খোরশেদ
- গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি আমার খুবই পছন্দ : কাউন্সিলর রুহুল আমি
- নেত্রী কারাগারে আলাদাভাবে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই : গিয়াস উদ্দিন