
প্রিন্ট: ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:২৮ এএম
সকালের ভালো শুরু বদলে দেবে আপনার সারাদিন

যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ইনফ্লুয়েন্সারের সকালের রুটিন ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। আস্টন হল নামের এই ইনফ্লুয়েন্সারের ভিডিওতে দেখা যায়—তিনি ভোর চারটার আগে উঠে দাঁত ব্রাশ করছেন, সাঁতার কাটছেন, ধ্যান করছেন, জার্নাল পড়ছেন, কলার খোসা দিয়ে মুখ ঘষছেন, ওয়েট লিফট করছেন, বরফের পানিতে মুখ ডুবাচ্ছেন এবং ছয় ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে নয়টায় নাস্তা করছেন।
নেট দুনিয়ার অনেকে একে বিলাসিতা বললেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন—ছয় ঘণ্টার রুটিন না হলেও, সকালের সুষ্ঠু সূচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইংল্যান্ডের সাইকোথেরাপিস্ট কামাল্যান কর বলেন, ভালোভাবে দিনের শুরু করতে ডজনখানেক কাজের দরকার নেই। তবে এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার যেগুলো মন উৎফুল্ল রাখে এবং সারাদিনের জন্য শক্তি জোগায়।
তিনি যোগ করেন, সকাল যদি ভালো যায়, দিনটাও গোছালোভাবে কাটে।
অন্যদিকে, ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী শন ম্যাকক্লেইন বলেন—প্রতিদিন একই ধরনের রুটিন অনুসরণ করলে মস্তিষ্ককে অপ্রয়োজনীয় চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা যায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য মানসিক শক্তি সঞ্চিত থাকে।
শনের গবেষণায় দেখা গেছে—যারা সকালে বিঘ্নহীনভাবে রুটিন মেনে চলেন, তারা কর্মক্ষেত্রে আরও কার্যকর হন এবং মানসিকভাবে শান্ত থাকেন।
তাহলে কী থাকা উচিত এক সুন্দর সকালের রুটিনে?
এড়িয়ে চলুন তাড়াহুড়ো—তাড়াহুড়ো করে গোসল, খাওয়া বা বের হলে শরীরে কর্টিসোল হরমোন বেড়ে যায়, যা উদ্বেগ তৈরি করে এবং সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত ঘটায়।
ঘুম থেকে উঠুন একটু আগে—এলার্মটা ৩০ মিনিট আগে সেট করুন। তবে স্নুজ বাটন না চাপাই ভালো, কারণ এতে সারাদিন ঝিম ধরা ভাব থাকে।
মন ভালো করার অভ্যাস গড়ুন—উঠেই বিছানা গোছান, যা মানসিক স্বস্তি দেয় এবং ডোপামিন নিঃসরণ ঘটায়।
শরীরকে জাগিয়ে তুলুন—এক গ্লাস পানি পান করুন, কারণ ঘুমের পর শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকে। নাস্তা না করা পর্যন্ত কফি না খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূর্যের আলোয় হাঁটুন—মেঘলা দিন হলেও কিছুক্ষণ আলোতে হাঁটা সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
কামাল্যান বলেন, সারাদিনকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করতে এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ছয় ঘণ্টার রুটিন না হোক, দিনটি শুরু করুন নিজের মতো করে কিছু সচেতন অভ্যাস দিয়ে—আপনার মন, শরীর আর সময়—সবই থাকবে নিয়ন্ত্রণে!