
প্রিন্ট: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম
এনসিপি ছাড়া ড.ইউনূসের আরেকটি দল জামায়াতে ইসলামী : আনিস আলমগীর

অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
জুলাই অভুত্থানের পরে সবাই সবাইকে রাজা মনে করছে। সবাই রাজা হয়ে গেছে ড. ইউনূসের রাজত্বে। দলগুলো এখন রাজার সঙ্গে কথা বলতে পারে, বড় বড় অনুষ্ঠানে ডাক পাচ্ছে। আরেকটি বিষয় হলো এই রাজনৈতিকদলগুলোকে এখন তো আর চাঁদা দিতে হচ্ছে না।
নিজেরাই নিজেদের কথা বলতে পারছে, ক্রিমিনালরাও দল খুলে বসেছে। তবে, রাজনীতি তো ব্যক্তিগত অধিকার এখানে আপনি বা আমি বাঁধা দিতে পারব না।
সম্প্রতি ইউটউবে মানচিত্র নামে এক টকশোতে এসব কথা বলেন সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর। ১৪৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছে।
একসঙ্গে এতগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক জনাব মঞ্জুরুল আলম পান্না।
টকশোতে আনিস আলমগীর আরো বলেন, এখানে সবাইকে কিংস পার্টি বলে অভিহিত করা যাবে না। কারণ ড. ইউনূস যখন ঘোষণা দিয়েছেন, তার ওই দলের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে এবং ওই দলের নেতাদের প্রয়োজন, যখন তাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চায়, তখন আসলে বলার অবকাশ নাই যে, এনসিপি ছাড়া ওনার (ড. ইউনূস) আর কোনো দল আছে।
এনসিপি ছাড়া ড. ইউনূসের যদি আর কোনো দল থাকে সেটা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী।
৩৫টি রাজনৈতিক দল ও চারটি রাজনৈতিক জোট গড়ে উঠেছে, তারা চাইছে সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এই রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কি, মঞ্জুরুল আলম পান্নার এমন প্রশ্নের জবাবে আনিস আলমগীর বলেন, ড.ইউনূসের যে কিংস পার্টি আছে, তাদের সহায়তার জন্য কিছ পার্টি দরকার। আর সেই সহায়তা করার জন্য এই আগাছাগুলো আছে। আগে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করার জন্য এমন দল ছিল।
কিন্তু মহান ড. ইউনূসকে সার্বিকভাবে এই দলগুলো সহায়তা করছে না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে অবৈধ টাকা এই ধরনের দলগুলোকে বিলি করা হয়। যদি ড.ইউনূসের ইচ্ছা থাকে তবে, এই দলগুলোকেও টাকা দিতে পারেন। তবে আমার কাছে মনে হয়, টাকার জন্য নয়, নিজেদের প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য এই দলগুলো রাস্তায় নেমেছে। মূল কথা হলো, আরপিওতে চেঞ্জ আনছে। আগে যেমন কঠিন অবস্থা ছিল, এতজন সদস্য থাকতে হবে, এতটা অফিস থাকবে হবে। ড.ইউনূসের কিংস পার্টি চাপ দিয়ে এই বিষয়গুলো সহজ করে দিচ্ছে। ফলে বিষয়গুলো সহজ করে দেওয়াতে এই রাজনৈতিনকদলগুলো সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আর এখন যদি নির্বাচনও হয় তবে তা মোটেও আর্ন্তজাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর্ন্তজাতিক তো দূরের কথা দেশের মধ্যেই গ্রহণযোগ্য হবে না। আওয়ামী লীগের তো একটা আবস্থান আছে। তার যদি বিচার করতে হয়, তবে বিচার করতে হবে। কিন্তু বিচারের আগে যদি তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখেন সেটা অন্যায়। আওয়ামী লীগকে সমর্থন করার দরকার নেই, কিন্তু ন্যায়ের মধ্যে থাকতে হবে। আইন সবার জন্য সমান করতে হবে। সূত্র : অনলাইন