
প্রিন্ট: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
যে আম আগে খাবেন, আর যে আম পরে খাবেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

চলছে দেশি ফলের ভরা মৌসুম। ইতোমধ্যেই বাজারে এসে গেছে নানা ধরনের দেশীয় ফল। আর যেসব ফল এই মুহূর্তে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার মধ্যে আম অন্যতম।
আমকে বলা হয় ফলের রাজা। অনন্য স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও আম বেশ সমৃদ্ধ ফল। তবে আমের রয়েছে আবার অসংখ্য জাত। আর জাতভেদে আমের স্বাদও ভিন্ন ভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন জাতের আম মৌসুমের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পাকে।
কিন্তু বাজারে আম কিনতে গেলে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন যে তিনি যে আমটি কিনছেন সেগুলো রাসায়নিক দিয়ে পাকানো নয়তো?
আর এই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ, প্রতিনিয়তই বাজারে এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। আর রাসায়নিক দেওয়া আম খেলে থাকে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থেকেই যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো সাধারণ মানুষ কীভাবে রাসায়নিকমুক্ত পরিপক্ক আম চিনবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রং দেখে পাকা আম চেনা খুব কঠিন। কারণ, রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আর সঠিক প্রক্রিয়ায় পাকা আমের রং অনেকটা একই রকম।
তবে আম পাকা কি-না তা বোঝার একটি ভালো উপায় আছে। পাকা আম পানিতে রাখলে তা ডুবে যায়। কিন্তু বাজারে আম কেনার সময় তো সবক্ষেত্রে পানিতে ডুবিয়ে পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ থাকে না।
যে গুণের কথা জানলে আপনি আম খেয়ে আঁটি ফেলে দেবেন নাযে গুণের কথা জানলে আপনি আম খেয়ে আঁটি ফেলে দেবেন না
এক্ষেত্রে নিরাপদ থাকার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেতে। তাহলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কমে যাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৌসুমের আগে বিভিন্ন জাতের আম রাসায়নিক দিয়ে পাকান অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন যে আম পাকবে, তখন যদি সেই আম খাওয়া যায়, তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর ক্রেতাদের ঠকাতে পারবেন না।
এ বিষয়ে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ভোক্তাকে চিন্তা করতে হবে, কোন আম আগে খাবো, আর কোন আম পরে খাবো। যখন গোপালভোগ আম পরিপক্ব হওয়ার সময় তখন গোপালভোগ খেতে হবে। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে ওই এমনিতেই পরিপক্ক হয়ে যায়। কোনোকিছু দিয়ে পাকানোর সুযোগ থাকে না।”
তিনি আরও বলেন, “গোপালভোগের মৌসুমে যদি কেউ বলে যে আমি ল্যাংড়া আম খাবো, তাহলে যারা অসাধু, তারা কেমিক্যাল দিয়ে ল্যাংড়া আমকে পাকিয়ে দেবে।”
অর্থাৎ, কোন জাতের আম কোন মৌসুমে পাকে সেটা জানা থাকলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি এদমই কমে যায়। কোন আম কখন পরিপক্ক হয় তা জানার জন্য এই লিংকে দেখুন।
আম ফল ব্যবসায়ী