করোনাভাইরাস: যেভাবে যত্ন নিবেন ফুসফুসের
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২০
যুগের চিন্তা রিপোর্ট: সুস্থ ফুসফুসের কারণে মানুষ সুস্থভাবে জীবনযাপন করে থাকে। ফুসফুস প্রাণীর চালিকাশক্তি। বর্তমান বিশ্বের এক বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের মূল আক্রমণ স্থলও ফুসফুস। এই ভাইরাস নাক বা মুখের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ধীরে ধীরে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে রোগীকে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ইত্যাদি জটিলতা, এমনকি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
যেভাবে আপনার ফুসফুস যত্ন নেবেন নিম্নে দেওয়া হলো:
১। খাবার প্রসঙ্গে আসা যাক। ফুসফুসের জন্য ভিটামিন-এ, সি, ই (বিটাক্যারোটিন ও ক্যারোটিনয়েডস), ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকদের মতে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অর্থাৎ ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই ফুসফুসের জন্য মহৌষধ। আদা, রসুন, রঙিন শাকসবজি, ফল, তৈলাক্ত মাছ, টক ফল, সরিষা, আমলকী, আপেল, কমলা, ব্রোকলি, ডিম, ফুলকপি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল আছে। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে উজ্জীবিত করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে এবং ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ফুসফুস তথা পুরো দেহের সুস্থতা নিশ্চিত করে। এসব খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৩০ থেকে ৪৫ মিলি লিটার পানি প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ কারও ওজন ৬০ কেজি হলে তার দৈনিক পানির চাহিদা হবে ন্যূনতম ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৭ লিটার। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তির পাশাপাশি দেহ টক্সিনমুক্ত থাকবে এবং কোষকে উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করবে।
২। ফুসফুস ভালো রাখতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করলে দেহে প্রচুর অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং বারবার সম্প্রসারণ-প্রসারণের ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ১৫-৩০ মিনিট জোরে হাঁটা, প্রাণায়াম, বড় করে শ্বাস নেওয়া এবং সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়া, মেডিটেশন ইত্যাদি ব্রিদিং এক্সারসাইজ একই সঙ্গে ফুসফুস এবং সম্পূর্ণ দেহের জন্য ভালো। পাশাপাশি প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা নির্বিঘ্ন ঘুমও সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
৩। ফুসফুসের যত্নের কথা বললে প্রথমেই বলতে হয় ধূমপান ত্যাগের কথা। ধূমপায়ীদের ফুসফুসের কোষ স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দুর্বল হয়ে থাকে বলে তাদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও সবার থেকে বেশি থাকে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ধূমপায়ীদের করোনাভাইরাসের ‘অ্যাট রিস্ক’ বা ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, অর্থাৎ সাধারণ মানুষ অপেক্ষা ধূমপায়ীরা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, যার জন্য ধূমপান ত্যাগ আবশ্যক। এই আপৎকালীন সময়টা ধূমপান ছাড়ার অভ্যাসের জন্য আদর্শ সময়।
- কাশি (Cough) চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
- দাঁতের মাড়ির রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি
- ইপিআই টিকার তথ্য লিপিবদ্ধ হয় কাগজে
- বাত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- স্তন প্রদাহে হোমিও চিকিৎসা
- লিউকোরিয়া (Leucorrhoea) চিকিৎসা ও প্রতিকারে হোমিওপ্যাথি
- কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস নয়, হোমিও সমাধান
- হোমিওপ্যাথিতে জলবসন্তের প্রতিকার ও প্রতিষেধক
- আইবিএস-ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
- এলার্জিজনিত আর্টিকারিয়া বা আমবাতে হোমিওপ্যাথির উপকারিতা
- কোলন ক্যান্সার নিরাময়ে হোমিও সমাধান
- মশা টার্গেট করে যাদেরকে কামড়ায় !
- কিডনী পাথর চিকিৎসায় হোমিও প্রতিবিধান
- জেনে নিন প্রতিদিন সুস্থ থাকার উপায়
- না’গঞ্জে ৩ এপ্রিল ৪০৭ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ১৩৭