
প্রিন্ট: ২৫ জুন ২০২৫, ১২:৩৮ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের শর্তসাপেক্ষে সম্মতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:২৫ এএম

ছবি : সংগৃহীত
গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। প্রস্তাবটির কিছু অংশে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করলেও, হামাস জানিয়েছে যে তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে অগ্রসর হতে আগ্রহী।
শনিবার (৩১ মে) হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এক হামাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাবের মূল কাঠামো মেনে নেওয়া হলেও কিছু জায়গায় সংশোধনী চাওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবটি গত সপ্তাহে উপস্থাপন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। এতে ইসরায়েল আগেই সম্মতি জানালেও গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি, যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে হামাস।
হামাসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাকলেও এর পরপরই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে। সংগঠনটি চায়, যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা যেন শুধু স্বল্পমেয়াদী না হয়ে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি নিশ্চিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরুর সাত দিনের মধ্যে হামাস ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে। হামাস এই মুক্তির ব্যাপারে সম্মতি দিলেও জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে জিম্মি হস্তান্তরের পক্ষপাতী, যাতে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি ভেঙে পূর্বের মতো আবারও আক্রমণ শুরু করতে না পারে।
হামাসের বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, আগের যুদ্ধবিরতির সময় জিম্মি মুক্তির পরপরই ইসরায়েল আক্রমণ চালানো শুরু করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার তারা অতিরিক্ত সতর্ক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজ দেশের জিম্মি পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে নন। তার এ বক্তব্য হামাসের আশঙ্কাকে আরও পোক্ত করেছে যে, জিম্মি মুক্তির পরও দখলদার বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে।
ফিলিস্তিনিদের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একটি নতুন কূটনৈতিক গতি সৃষ্টি করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সংশোধিত প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কী প্রতিক্রিয়া জানায়।
সূত্র: রয়টার্স