দক্ষিণ কোরিয়ায় নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট চলাকালীন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় চারজন আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পোহাং শহরের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে পি-৩ মডেলের টহল বিমানটি। তবে আকাশে ওড়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সেটি অজ্ঞাত কারণে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নৌবাহিনীর ভাষ্যমতে, দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা চারজনের সবাই নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পোহাংয়ের পার্বত্য এলাকায় একটি ভবনের নিকট একটি বিমান ভেঙে পড়েছে—এমন তথ্য পেয়ে দ্রুত সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যমতে, বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা। বিমানের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাদের।

এই দুর্ঘটনার পরপরই সতর্কতা হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী তাদের বহরে থাকা সব পি-৩ বিমানের ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশটির মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১৮১ যাত্রীর মধ্যে মাত্র দু’জন জীবিত উদ্ধার হয়েছিলেন, যা দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।