
প্রিন্ট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:১৫ এএম
সামরিক প্রযুক্তির উৎপাদন বাড়াতে ট্রাম্পের শুল্কনীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১১:২৬ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার শুল্কনীতি বা ট্যারিফ আরোপের মূল লক্ষ্য দেশজ উৎপাদনে সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যের অংশীদারিত্ব বাড়ানো—টি-শার্ট বা জুতা উৎপাদন নয়।
সোমবার (২৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় রোববার নিউ জার্সি থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমরা সত্যি বলতে টি-শার্ট বা মোজা বানাতে চাই না। আমরা চাই এমন কিছু তৈরি করতে, যা বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ—যেমন কম্পিউটার চিপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যন্ত্র, ট্যাংক ও জাহাজ।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা স্নিকার্স ও টি-শার্ট নয়, সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে চাই। বড় জিনিস বানাতে চাই। আমরা চিপস এবং এআই টেকনোলজিতে নেতৃত্ব দিতে চাই।
তিনি সমর্থন জানান মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের ২৯ এপ্রিলের এক বক্তব্যের, যেখানে বেসেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি থাকার দরকার নেই।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশন্স (NCTO) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। সংগঠনটি অভিযোগ তোলে, এমন অবস্থান দেশের টেক্সটাইল খাতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (AAFA) জানায়, ট্রাম্পের শুল্কনীতির ফলে সাধারণ মার্কিন নাগরিকের ওপর ব্যয় বাড়বে। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট স্টিভ ল্যামার বলেন, আমরা যে জামাকাপড় ও জুতা পরি, তার ৯৭ শতাংশই আমদানিনির্ভর। এই খাত ইতোমধ্যেই সর্বোচ্চ শুল্কের আওতায় রয়েছে। আরও শুল্ক মানেই খরচ ও মূল্যবৃদ্ধি।
এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি আগামী ১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে চান। এমনকি অ্যাপলের আমদানিকৃত আইফোনের ওপরেও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দেন তিনি।
তবে রোববার কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।