
প্রিন্ট: ১২ জুন ২০২৫, ০২:৫৮ এএম
যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারত থেকেই এসেছিল, দাবি পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী (ফাইল ছবি)
পাকিস্তানের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের আক্রমণ হলে তার প্রতিক্রিয়ায় জবাব হবে ‘চূড়ান্ত, কঠোর ও নির্দয়’—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। সেই সঙ্গে তারা দাবি করেছে, সদ্য সমাপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তানের নয়, বরং ভারতের পক্ষ থেকেই এসেছিল।
সোমবার (১২ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হলে প্রতিক্রিয়া হবে ব্যাপক ও নির্দয়। ভারতীয় বাহিনীর সন্ত্রাসী আচরণের জবাব আমরা কঠোরভাবে দিয়েছি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ এবং নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রাজা রব নেওয়াজ।
যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে জেনারেল চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান কখনোই যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি। ৬ ও ৭ মে রাতের হামলার পর ভারতই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। তবে আমরা জানিয়ে দিই—প্রতিশোধের পরই এ বিষয়ে আলোচনা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, ১০ মে পাকিস্তান ‘বুনইয়ান উল মারসুস’ নামের একটি সামরিক অভিযানে ভারতের অন্তত ২৬টি সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়। এর মধ্যে ছিল ভারতীয় বিমানঘাঁটি, রাডার স্টেশন, গোলাবারুদের ডিপো ও ব্রিগেড সদর দপ্তর। এসব হামলা জম্মু ও কাশ্মির এবং ভারতের মূল ভূখণ্ডেও পরিচালিত হয়।
আইএসপিআর প্রধান জানান, ভারতের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সাইট ও এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তিনি দাবি করেন, ভারতীয় সামরিক কাঠামোতে এই হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে আজাদ কাশ্মিরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছিল। আমাদের জবাবে সেসব ঘাঁটি সাদা পতাকা উত্তোলন করে সংঘাত বন্ধের অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়।
এছাড়া পাকিস্তান সাইবার যুদ্ধেও ভারতকে কৌশলগতভাবে দুর্বল করে দেয় বলে দাবি করেন জেনারেল চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতের সামরিক অবকাঠামো অস্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।