যুদ্ধবিরতির পরও উচ্চ প্রস্তুতিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সীমান্তবর্তী সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তান সেনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। একইসাথে, পাকিস্তান কর্তৃক ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও এনেছে ভারত।

শনিবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা অংশ নেন। কমোডর রঘু নায়ার বলেন, “যুদ্ধবিরতি মেনে চলা হচ্ছে, তবে তিন বাহিনীই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।”

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি অভিযোগ করে বলেন, “পাকিস্তান সংঘর্ষ চলাকালীন অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। তাদের দাবি করা ভারতীয় সামরিক ক্ষয়ক্ষতির খবর ছিল ভিত্তিহীন।”

বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ধর্মীয় উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং আমাদের সামরিক বাহিনী ধর্মীয় স্থানগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। আমাদের অভিযানের লক্ষ্য ছিল কেবল সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত অবকাঠামো।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল পরিকল্পিত ও ন্যায্য। কোনও ধর্মীয় স্থান আমাদের নিশানায় ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।”

এই অবস্থায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও পরিস্থিতি যে এখনো উত্তেজনাপূর্ণ এবং অনিশ্চিত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনীর এই বার্তা।

সূত্র: বিবিসি।