
প্রিন্ট: ১২ জুন ২০২৫, ০১:৩৫ এএম
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান দেখে পালিয়ে গেছে ভারতীয় ৪টি যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর উপস্থিতি দেখে পালিয়ে গেছে ভারতের চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিডিএফ)।
পিডিএফ জানায়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় বিমান দেখতে পেয়ে পাকিস্তান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। এ প্রতিক্রিয়ার ফলে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো পিছু হটতে বাধ্য হয়।
ইসলামাবাদে একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছিল রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো। তখন পাকিস্তান বিমানবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে যুদ্ধবিমানগুলোকে বাধ্য করে ফিরে যেতে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র এটিকে একটি ‘সমন্বিত প্রতিরক্ষামূলক সাড়া’ হিসেবে অভিহিত করেছে, যা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করতে পরিচালিত হয়েছে।
এই ঘটনার পেছনের মূল কারণ ছিল ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া এক সন্ত্রাসী হামলা। এতে ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। গত দুই দশকে এটিই ছিল কাশ্মীরের অন্যতম রক্তক্ষয়ী হামলা।
এই ঘটনার পর ২৩ এপ্রিল ভারত একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের ‘ইনডাস ওয়াটার ট্রিটি’ স্থগিত ঘোষণা করে। এর পরদিন পাকিস্তান পাল্টা ঘোষণা দেয় যে, তারা ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত রাখবে এবং ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেবে।
পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে আসা সন্ত্রাসীদের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে দাবি করে ভারত। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ঘটনার ওপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার জানান, পাকিস্তানের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। পাহেলগামের হামলাকে সেই আক্রমণের ‘অজুহাত’ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে তারার সতর্ক করেছেন।
এদিকে, পাকিস্তান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের ব্যথা ও পরিণাম তারা ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারে। এই বিবৃতিতে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক মহলকে শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।