
প্রিন্ট: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও ১০০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন যখন মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তখনই এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুরুতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, যা পরে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশে পৌঁছায়। এরপর চীনের পাল্টা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্র আরও ২১ শতাংশ বাড়ায়। গত ৯ ও ১০ এপ্রিল আবারও বড় ধরনের শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়, যার ফলে এখন চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়ায় ২৪৫ শতাংশে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ধারাবাহিক শুল্কনীতি শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে চরম অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যার পরিণতিতে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে।
ট্রাম্পের ঘোষণায় জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে। এতে চীন থেকে আমদানি করা স্মার্টফোন ও কম্পিউটার সরঞ্জামের ওপর ছাড় আর থাকছে না। তার যুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর খাতকে ঘিরেই যুক্তরাষ্ট্র তার জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায়।
সোমবার ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত ফাইলিং অনুযায়ী, চিপস এবং ওষুধ আমদানির ওপর নির্ভরতা জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি—এই যুক্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন এসব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী, এসব সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড সতর্ক করেছে, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে ২.৩ শতাংশে নেমে যেতে পারে, যা মন্দার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, আগে যেখানে ২.৭ শতাংশ বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির আশা ছিল, এখন তা কমে দাঁড়াবে মাত্র ০.২ শতাংশে।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির এই উত্তেজনা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট