
প্রিন্ট: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
৬ সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ গাজায় শেষ খাবারটুকুও ফুরিয়ে যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ এএম
-67f89d64b20c6.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য সব ধরনের সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার ছয় সপ্তাহ পার হয়েছে। বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতির সময় যেটুকু খাবার মজুত করা হয়েছিল তা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। গত মার্চের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ঢোকার চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। ফলে ঢুকতে পারছে না ত্রাণবাহী কোন ট্রাক। এই চেকপয়েন্টগুলো খোলা না হলে ক্ষুধায় মৃত্যু হবে বেশির ভাগ গাজাবাসীর।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আগে গাজার ২৫টি বেকারিতে রুটি সরবরাহ করতো। এখন সবগুলো বেকারি বন্ধ। অল্প পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী বিতরণও বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ থাকায় দাতব্য সংস্থাগুলো জরুরি খাবার বিতরণ করতে পারছে না। বাজারে কোনো পণ্য নেই। সরবরাহ না থাকায় পানির তীব্র হাহাকার।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজা ভূখণ্ডে অবরোধ আরোপ করার পর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পণ্যের দাম দ্রুতগতিতে বেড়েছে। এর অর্থ বাচ্চারা, শিশুরা ক্ষুধা নিয়েই ঘুমাতে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে সব ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র শেষ। এক মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গাজা অবরোধ করায় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে।
আরএস/