
প্রিন্ট: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:০১ পিএম
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে শিন বেটের সাবেক প্রধানের বিস্ফোরক অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩২ পিএম

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইয়ারাম কোহেন। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
সোমবার (৭ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ইয়ারাম কোহেন অভিযোগ করেছেন যে নেতানিয়াহু তাকে মন্ত্রিসভা থেকে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নাফতালি বেনেটকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। কোহেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং তার বক্তব্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “শিন বেটের সাবেক প্রধান হিসেবে তার এই ধরনের মন্তব্য শুধু প্রধানমন্ত্রীকেই নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর আঘাত।” পিএমওর ভাষ্য অনুযায়ী, কোহেন এই অভিযোগের মাধ্যমে শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বারের নেতৃত্বেও সন্দেহ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যান, যা ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় রদবদলের সূচনা করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই কোহেনের এই অভিযোগ নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। তবে সরকারি পর্যায় থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “কোহেনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত।”
সম্প্রতি শিন বেট সংক্রান্ত কয়েকটি তদন্ত প্রতিবেদন ইসরায়েলি গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে সরকার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকেও অস্বীকার করে বলা হয়েছে, “এসব প্রচেষ্টা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।”
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের রাজনীতিতে উত্তেজনার মাত্রা আরও বেড়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।