
প্রিন্ট: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:২২ এএম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন : মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এ বিষয়ে নজর রাখছে এবং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
ভারত সফরকালে দিল্লিতে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
সাক্ষাৎকারে এনডিটিভি তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে জানতে চায়, "বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?"
এর জবাবে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দীর্ঘ সময় ধরে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, ক্যাথলিক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। হত্যা, নিপীড়ন ও সহিংসতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
ভারতের এএনআই সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড ইসলামী জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গেও কথা বলেন, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই ইসলামী জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ভারত ও বাংলাদেশেও সরাসরি প্রভাব ফেলছে। আমরা দেখছি, কিভাবে এই সমস্যা সিরিয়া, ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও বিস্তৃত হয়েছে।”
তুলসী গ্যাবার্ডের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা শুধু দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নয়, সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতাও নিশ্চিত হওয়া উচিত।"
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা আন্তর্জাতিকভাবে নজরদারিতে রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।