রাশিয়ার পাঠানো অর্থে সাময়িক স্বস্তি পেলো সিরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ার ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। অর্থ সংকট মোকাবিলায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল দামেস্ক। তবে আপাতত সেই সংকট কিছুটা লাঘব হয়েছে, কারণ রাশিয়া থেকে সিরিয়ায় এসেছে হাজার হাজার কোটি সিরিয়ান পাউন্ড।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে প্রকৃতপক্ষে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ এসেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরে শুক্রবার সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিত করে, তারা রাশিয়া ফেডারেশনের কাছ থেকে ৩০০০ কোটি সিরিয়ান পাউন্ড পেয়েছে। তারা আরও জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও রাশিয়ার মধ্যে আগে হওয়া চুক্তির অংশ হিসেবেই এই অর্থ এসেছে। গত বছরই এই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে বিদ্রোহীদের চাপের মুখে বাশার আল আসাদ ক্ষমতা ছাড়লে বিষয়টি বিলম্বিত হয়।
বাশার আল আসাদের শাসনামলে সিরিয়ার অর্থ রাশিয়ায় ছাপিয়ে আনার রীতি চালু হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন মুদ্রিত অর্থ প্লেনে করে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই সিরিয়ায় সিরিয়ান পাউন্ডের সংকট দেখা দেয়। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে, যেখানে প্রতি ডলারে ৯ থেকে ১০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ড লেনদেন হচ্ছে। দেশটির ব্যাংকের এটিএমগুলোতেও পর্যাপ্ত অর্থ নেই, ফলে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন তুলতে পারছেন না।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সহসাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ছাড়া সংকট কাটানো সম্ভব নয়। পাশাপাশি, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হতে পারেন। যদিও সম্প্রতি কিছু দেশ দামেস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে, তবু অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।