হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীকে দক্ষিণ লেবাননের সব অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার কথা। এ সকল জায়গায় লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে। তবে হিব্রু গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় চেয়েছে ইসরাইল।

বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, লেবাননের সেনাবাহিনী ধীরগতিতে মোতায়েন হচ্ছে, যার ফলে ইসরাইলের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইলের এই সময় বৃদ্ধির অনুরোধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স আলোচনা করছে। সূত্রের দাবি, ফ্রান্স সময় বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছে না, তবে এটি অন্যান্য পক্ষের সম্মতির ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে ইসরাইলি আর্মি রেডিও আজ সকালে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অতিরিক্ত ৩০ দিনের সময় দেওয়ার বিষয়ে আগের প্রশাসনের মতো আগ্রহী নয়। ট্রাম্প প্রশাসন চায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রত্যাহার সম্পন্ন হোক।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রেডিওকে জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন জেরুজালেম ও ওয়াশিংটন এই বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং ইসরাইল শেষ পর্যন্ত সময় বাড়ানোর অনুমতি পাবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লেবাননের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও হিজবুল্লাহ যদি ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত করার বিরোধিতা করে, তবে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে। এখন সব পক্ষের দৃষ্টি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে।