ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা এপিপিজির সেই রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ এএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যের একদল এমপির দেয়া প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে পক্ষপাতমূলক ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কমনওয়েলথের সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) গত নভেম্বরে বাংলাদেশের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে ঢাকার বর্তমান শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদনে অনেক তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাউস অব কমন্সে একজন এমপি অভিযোগ দেয়ার পর ওই প্রতিবেদন আর বিতরণ করা হচ্ছে না এবং সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিবেদনটি পর্যালোচনার আওতায় একটি অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে রয়েছে। এটি আর বিতরণ করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের তিন মাস পর গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়। ওই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক দমন–পীড়ন চালায়, যাতে আনুমানিক এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এএপিজি) ওই প্রতিবেদনে হাসিনার উত্তরসূরি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করা হয়। এএপিজির চেয়ার কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রু রোসিনডেল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ হওয়া উচিত, যেখানে শুধু ক্ষমতাসীনদের সমর্থকদের জন্য নয় বরং সবার জন্য সুযোগ থাকবে। অবিলম্বে এই ধারার পরিবর্তন না হলে নতুন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে আশা করছে, তা উধাও হয়ে বিপদ তৈরি করবে।’
প্রতিবেদনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার এবং ‘কট্টর ইসলামপন্থীদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ করা হয়।
‘আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারক, পণ্ডিতজন, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত বেশি সংখ্যায় হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে যে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে,’ বলা হয় প্রতিবেদনে, যেটি মূলত নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য–প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে বেশিরভাগই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে ৫ আগস্টের পর, যখন লাখ লাখ বিক্ষোভকারীদের পুলিশ এবং সরকারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য রাস্তায় নেমে আসে।