রাফাহ থেকে সরে আসছে ইসরায়েলি সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে বহুপ্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবসান আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার রাফাহ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে, হামাস তাদের হাতে থাকা ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। রবিবার বিকেলে ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।
এর বিনিময়ে, ইসরায়েল বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে থেকে প্রথম দফায় ৯৫ জনকে মুক্তি দেবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপটি ৪২ দিনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার সময়কালে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে। এছাড়া ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় শনিবার ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রথম ধাপে এই বন্দিরা মুক্তি পাবে।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ৮ ঘণ্টার বৈঠকের পর শনিবার সকালে ইসরায়েল সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে।
এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার ফলে রবিবার থেকে বন্দিবিনিময় শুরু হবে। ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রবিবার ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে। এদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের বিষয় আলোচনা করা হবে।
তৃতীয় ধাপে অবশিষ্ট মৃতদেহের ফেরত এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। এই কাজ মিসর, কাতার এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয়েছে ইসরায়েল এবং হামাস।