যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পশ্চিম তীরে ১৯ নতুন বসতির অনুমোদন ইসরায়েলের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অপর অংশ পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিবিদ ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসিকে স্মোতরিচ বলেন, তিনি এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা গতকাল অনুমোদন পেয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
উল্লেখ্য, স্মোতরিচ নিজেও পশ্চিম তীরের একজন দখলদার বসতিস্থাপনকারী। তিনি ওই অঞ্চলে বসবাসরত ইসরায়েলি সেটলারদের একজন।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে এবং প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।
আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে গত কয়েক দশক ধরে ধাপে ধাপে পশ্চিম তীর দখল করে আসছে ইসরায়েল। বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসনামলে বসতি স্থাপনের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
২০২২ সালের শেষ দিকে লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে গত প্রায় তিন বছরে পশ্চিম তীরে ইহুদি আবাসনের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে ১৭৮টিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ নেতানিয়াহুর আমলে বসতি স্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
এই হিসাব নতুন করে অনুমোদিত ১৯টি বসতির আগের। সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গত তিন বছরে পশ্চিম তীরে অনুমোদিত ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৯টিতে। বিবিসিকে স্মোতরিচ আরও বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে পুরোপুরি ‘কবর দেওয়ার’ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার এগোচ্ছে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপনবিরোধী ইসরায়েলি সংগঠন পিস নাও-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা ১৬০টি। এসব বসতিতে বসবাস করছেন প্রায় সাত লাখ ইসরায়েলি।
সূত্র : বিবিসি



