প্রশ্ন পুতিনের
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জ্বালানি কিনতে পারলে, ভারত কেন পারবে না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেই কূটনৈতিক আঙিনায় ছুড়ে দিলেন এক ঝকঝকে চ্যালেঞ্জ। বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদির উষ্ণ আলিঙ্গনের পরই পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন তুললেন, যদি আমেরিকা রাশিয়া থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কিনতেই থাকে, তবে ভারত কেন রুশ জ্বালানি নেওয়ায় বাধাগ্রস্ত হবে?
রয়টার্স জানিয়েছে, দিল্লিতে নামার কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ওয়াশিংটন যদি নিজের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করতে পারে, তবে ভারতের জন্য একই পথ খোলা থাকা উচিত। তিনি ইঙ্গিত দেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনায় রাশিয়া প্রস্তুত।
পুতিনের এই সফর এমন সময়, যখন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে মস্কোর কাছ থেকে দূরে থাকতে তাগিদ দিচ্ছে। অথচ বাস্তবতায় রাশিয়া এখনো ভারতের বড় অস্ত্র সরবরাহকারী, আর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ভিড়েও ভারত রুশ তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা। কিছু নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তিমূলক শুল্কের কারণে সাম্প্রতিক মাসে আমদানি কমে এলেও পুতিন জানান, মোট বাণিজ্য ‘প্রায় আগের মতোই’ এবং রুশ তেলের প্রবাহ ‘মসৃণ চলছে’।
ভারত বলছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য। তাদের প্রশ্ন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিজরাই কোটি কোটি ডলারের রুশ জ্বালানি আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে, তখন শুধুই ভারতকে কেন সমালোচনার মুখে পড়তে হবে?
ট্রাম্প-শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন কিছু উপদেষ্টার কথা শুনছেন, যারা মনে করেন শুল্কনীতি আমেরিকার জন্য লাভজনক। তবে রাশিয়ার আশা, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মভঙ্গগুলো সংশোধিত হবে।
অবতরণের কিছুক্ষণ পরই মোদি-পুতিন লালগালিচায় আলিঙ্গন ভাগ করে নেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যক্তিগত নৈশভোজে একই গাড়িতে যান। পুতিনের সঙ্গে ভারত সফরে এসেছেন রুশ মন্ত্রীদের উচ্চক্ষম প্রতিনিধি দল এবং বড় ব্যবসায়ীসমূহ। দুই নেতা শুক্রবার শীর্ষ বৈঠকে বসবেন, যেখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।



