বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোন্থা ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে ভারতের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)-এর সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ছয় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পশ্চিম, পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া ও কলিঙ্গপত্তনম উপকূলের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে। তার আগে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, আর দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁতে পারে ১১০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, মঙ্গলবার তিন রাজ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল এবং বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন।
অন্ধ্রপ্রদেশে মঙ্গলবার ও বুধবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসন প্রস্তুত আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
তামিলনাড়ুর উপকূলে ইতোমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাজধানী চেন্নাইয়েও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, প্রশাসন সম্ভাব্য সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।
অন্যদিকে, তেলঙ্গানা ও কর্নাটকের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতের রেল দপ্তর দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছে। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স সম্ভাব্য পরিষেবা বিঘ্নের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
ওড়িশার গজপতি জেলা এবং উপকূলবর্তী অন্যান্য এলাকায় ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আটটি জেলায় উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং তীরবর্তী এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



