Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ বিলের প্রাথমিক অনুমোদন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৭ এএম

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ বিলের প্রাথমিক অনুমোদন

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেট’ অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার একটি বিতর্কিত বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। বিলটি সম্পূর্ণভাবে পাস হলে ফিলিস্তিনি এই অঞ্চল ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের অধীনে চলে যাবে—যা কার্যত সংযুক্তিরই সমান এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ১২০ আসনের নেসেটে বিলটি ২৫–২৪ ভোটে প্রাথমিকভাবে পাস হয়। আইন হিসেবে কার্যকর হতে হলে আরও তিন ধাপের ভোটে অনুমোদন পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার লিকুদ পার্টি বিলটির বিরোধিতা করলেও কয়েকজন জোটসঙ্গী ও বিরোধী এমপি এতে সমর্থন দেন।

নেসেটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটির উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুদিয়া ও সামারিয়া অঞ্চলে (পশ্চিম তীর) প্রয়োগ করা। এখন এটি আরও আলোচনার জন্য সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে পাঠানো হবে।

এই ভোট এমন এক সময় হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েল সফর করছেন।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে এই ভোটকে বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক উসকানি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। দলটি সতর্ক করে বলেছে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাদের দাবি, সার্বভৌমত্ব দেখানোর ভান করে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই অর্জন করা উচিত।

বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান এই ভোটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা নেসেটের ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্তির প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা একক ভূখণ্ড, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌম অধিকার নেই।

হামাস একে ইসরায়েলের উপনিবেশবাদী চেহারার নগ্ন প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছে। কাতার একে ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সব ধরনের বসতি স্থাপন ও সম্প্রসারণমূলক কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে। জর্ডানের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে বড় বাধা এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারে হস্তক্ষেপ।

বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ৭ লাখের বেশি ইসরায়েলি অবৈধ বসতিতে বাস করছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন