শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক ও গণতন্ত্র আন্দোলনের নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য মাচাদোর অবিচল সংগ্রাম তাকে এই সম্মানজনক পুরস্কারের যোগ্য করে তুলেছে।
শান্তি পুরস্কারকে নোবেল সম্মাননার মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই শান্তিতে নোবেল পান, যিনি এখনও সবচেয়ে কম বয়সী বিজয়ী। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে ৮৭ বছর বয়সে জোসেফ রটব্লাট ছিলেন সবচেয়ে প্রবীণ বিজয়ী।
এ পর্যন্ত ৩১টি প্রতিষ্ঠান শান্তিতে নোবেল পেয়েছে। গত বছর জাপানের সংগঠন ‘নিহন হিদানকিও’ এই পুরস্কার লাভ করে। তারা পারমাণবিক হামলার বেঁচে থাকা মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়ে, যার মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা ছিল। আলোচনায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও, যিনি দাবি করেন তিনি আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন এবং নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তবে নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তে তার সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি ওবামার নোবেল পাওয়া নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন।
এছাড়া মনোনীতদের তালিকায় ছিল সুদানের ‘ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস’ এবং ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’, যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিটি নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বিজয়ীরা একটি সোনার পদক ও একটি সম্মাননাপত্র (ডিপ্লোমা) পান।



