২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হচ্ছে গাজায়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সহিংসতা বন্ধ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র।
শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেখেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির ফ্রেমওয়ার্কটি সরকার এইমাত্র অনুমোদন করেছে। যদিও তিনি সরাসরি যুদ্ধবিরতি শব্দটি ব্যবহার করেননি। সরকারের মুখপাত্র পরে রয়টার্সকে জানান, মন্ত্রিসভার এই অনুমোদনের ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং নিহতদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন ওই মুখপাত্র।
এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা যুদ্ধবিরতির নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ওই সময় তার পাশে ছিলেন নেতানিয়াহু। ট্রাম্প জানান, পরিকল্পনাটি ইসরায়েল, হামাস, মিসর ও কাতারের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেখানে হামাস ছাড়া সবাই প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানিয়েছিল।
পরবর্তীতে ৩ অক্টোবর হামাসের প্রাথমিক সম্মতির পর, ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান। এরপর ৬ অক্টোবর মিসরের শারম আল শেখ শহরে ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বৈঠক শুরু হয়। দুই দিনের আলোচনার পর ৮ অক্টোবর রাতে উভয় পক্ষ ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রাথমিক বাস্তবায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পরদিন ট্রাম্প নিজেই এক্সে পোস্ট দিয়ে এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্পের ঘোষণার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পরই ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়, যা ইসরায়েলের ৭৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত। এর জবাবে ইসরায়েল ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের হিসেব অনুযায়ী, এখনও ৪৮ জন জিম্মি গাজায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স



