এক দশক পর ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ এএম
এক দশক পর প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পদক্ষেপের কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিবাদে ওই তিন দেশ থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে তেহরান।
আজ রবিবার থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের সঙ্গে পরমাণু, সামরিক, ব্যাংকিং ও রপ্তানিমুখী খাতগুলোতে বৈশ্বিক সহযোগিতা নিষিদ্ধ হয়েছে। এর প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়েছে অর্থনীতিতে—গত ২৭ সেপ্টেম্বর তেহরানের খোলা বাজারে ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের দরপতন ঘটে, এক ডলারের দাম পৌঁছায় ১১ লাখ রিয়ালে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল দেশটির শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যদি উদ্দেশ্য হতো কেবল পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ দূর করা, তবে সেটি সহজেই করা যেত। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করবে না।
জাতিসংঘে রাশিয়া ও চীন নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করলেও মাত্র চারটি দেশ সমর্থন দেয়। ফলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ উন্মুক্ত হয়। পশ্চিমা শক্তিগুলো আগেই সতর্ক করেছিল যে, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে যথেষ্ট স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না।
এর আগে জুন মাসে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতে এক হাজারেরও বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। ওই সময় হামলায় সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরাও প্রাণ হারান। সংঘাতের পর ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়। পরে আইন পাস করে বিষয়টি স্থায়ী করে।
তবে সম্প্রতি আইএইএ জানিয়েছে, ইরানের কিছু পরমাণু সাইটে পুনরায় পরিদর্শন শুরু হয়েছে। তবে হামলার শিকার সাইটগুলো অন্তর্ভুক্ত কি না, তা স্পষ্ট নয়। মস্কোর *ওয়ার্ল্ড অ্যাটমিক উইক ফোরামে* ইরানের পরমাণু প্রধান মোহাম্মদ এসলামি আবারও জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা না করায় তারা আস্থার যোগ্য নয়। সূত্র: আল-জাজিরা



