কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করল তৃণমূল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ছবি : সংগৃহীত
নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিতে পড়েছে, বিশেষ করে শিলিগুড়ি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও নকশালপন্থি রাজনীতির বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের বিষয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। এসব ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।”
উল্লেখ্য, নেপালে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও তরুণদের আন্দোলনের পর ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সরকার পতন ঘটে। পরদিন সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে দেশটির পরিস্থিতি এখনও অস্থির, যার প্রভাব ভারতের শিলিগুড়ি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
বিশেষ করে নেপালের প্রভাবশালী নকশালপন্থি মাওবাদী দলগুলোর সক্রিয়তা এবং ভারতের নিষিদ্ধ নকশাল রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সীমান্তে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোদি-মমতা বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে:
শিলিগুড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তে নিয়মিত সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর পাশাপাশি সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) মোতায়েন করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদানে সমন্বয় জোরদার করা হবে।
এই সমঝোতা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় রাজনৈতিক মতপার্থক্য উপেক্ষা করে যৌথভাবে কাজ করার বার্তা দিয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।



