ভারতের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের নৌবাহিনী রাজধানী দিল্লি থেকে আটক করে মায়ানমারের ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জাহাজে তুলে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে—এমনই অভিযোগ করেছেন শরণার্থীরা। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
জাতিসংঘ বলছে, এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের জীবনকে ‘চরম ঝুঁকির’ মুখে ঠেলে দিয়েছে ভারত।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৯ মে নুরুল আমিন সর্বশেষ ফোনে ভাই খাইরুলের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি জানতে পারেন, খাইরুলসহ পরিবারের আরও চারজনকে ভারত সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে—যে দেশ থেকে তারা বহু বছর আগে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসেছিলেন।
বর্তমানে মিয়ানমারে সেনা জান্তার বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ চলছে। এ পরিস্থিতিতে পুনর্মিলনের কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রায় তিন মাস পর বিবিসি ওই রোহিঙ্গাদের খুঁজে পায় মিয়ানমারে। বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিরোধ গোষ্ঠী বাহটু আর্মি (বিএইচএ)-এর কাছে।
বিবিসি জানায়, শরণার্থীদের প্রথমে দিল্লি থেকে বিমানে বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে পরে আন্দামান সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। তবে ফেলার আগে তাদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। শরণার্থীরা পরে সাঁতরে তীরে ওঠেন। এখন তারা মিয়ানমারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।
এক রোহিঙ্গা শরণার্থী ফোনে স্বজনকে জানান, আমাদের হাত বেঁধে, চোখ-মুখ ঢেকে বন্দির মতো জাহাজে তোলা হলো। তারপর সমুদ্রে ফেলে দিলো।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষ প্রতিবেদক টমাস অ্যান্ড্রুজ বলেন, তাঁর হাতে এ অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তিনি জেনেভায় ভারতের মিশন প্রধানের কাছে সেগুলো জমা দিলেও কোনো উত্তর পাননি। বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি।
সূত্র: বিবিসি



