কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আনছে ইইউ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েন এ ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তিনি আগামী কয়েক দিনে বেলারুশ সীমান্তবর্তী সাতটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র সফর করবেন। শুক্রবার তাঁর প্রথম গন্তব্য লাটভিয়া ও ফিনল্যান্ড, এরপর এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, লিথুনিয়া ও রোমানিয়া সফর করবেন।
শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চলাকালে রাশিয়ার বড় ধরনের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান উরসুলা। তিনি বলেন, “মাত্র ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ইইউ মিশন থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে আঘাত হানে।”
ইউক্রেনীয় সেনাদের তথ্যমতে, হামলায় রাশিয়া প্রায় ৬০০ ড্রোন ও ৩০টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে—যা চলতি মাসে রাজধানীতে চালানো সবচেয়ে বড় আক্রমণ। দক্ষিণ-পূর্ব কিয়েভের দারনিতস্কি জেলায় একটি পাঁচতলা ভবনে সরাসরি আঘাত হানায় ভবনটি ধসে পড়ে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জন, যার মধ্যে চার শিশু রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ইইউ মিশনের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যালয়ও ছিল।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার এ হামলার জন্য সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করে বলেন, “তিনি শান্তির আশা নস্যাৎ করছেন।” ইইউ পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কাল্লাস মন্তব্য করেন, “রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং শান্তি প্রচেষ্টাকে উপহাস করছে।”
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্ৎস হামলাকে “ইইউ মিশনকে লক্ষ্যবস্তু করার দুঃসাহস” হিসেবে আখ্যা দেন। মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগও বলেন, “এটি শান্তির প্রচেষ্টার জন্য গুরুতর হুমকি।”
হামলার আগের দিন ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ১ লাখেরও বেশি পরিবার। সর্বশেষ হামলায় ভিনিতসিয়া অঞ্চলে আরও ৬০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে। এছাড়া রুশ বাহিনী দানিউব নদীর মোহনায় একটি ইউক্রেনীয় নৌযানেও আঘাত হানে, এতে একজন নাবিক নিহত হন।



