গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৪ নিহত, ক্ষুধায় মৃত্যু বেড়ে ৩০৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন প্রাণ হারান মানবিক সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে। পাশাপাশি অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলি সেনারা গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা নগরীতে গভীরভাবে ঢুকে পড়েছে। মহল্লা-মহল্লা ধ্বংস করে দেওয়ায় হাজারো পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার গাজা নগরীর পূর্বাঞ্চলের একটি জনবহুল বাজারে হামলায় পাঁচজন নিহত হন, আহত হন আরও অনেকে। আল-আহলি আরব হাসপাতাল জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ছিলেন।
আল জাজিরার যাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তর গাজার আস-সাফতাওয়ি এলাকা থেকে নারী-পুরুষ-শিশুরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ সারিতে দক্ষিণের দিকে পলায়ন করছে। ইসরায়েল প্রায় ১০ লাখ মানুষকে জোর করে তথাকথিত ‘কনসেন্ট্রেশন জোনে’ ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্যালেস্টাইনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, ৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গাজার জায়তুন ও সাবরা এলাকায় এক হাজারেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় লেখক সারা আওয়াদ বলেন, প্রতিদিন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে— ঘরে থেকে বোমার ঝুঁকি নেব, নাকি উদ্বাস্তু হবো। মনে হচ্ছে গাজার মানুষ তাদের জীবনের শেষ দিনগুলো পার করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত জিএইচএফ মে মাসে ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টায় ২১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর (ওসিএইচএ) সতর্ক করেছে, গাজায় ক্ষুধা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং জরুরি সেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৩ জনে, যার মধ্যে ১১৭ জন শিশু।



