ট্রাম্পের সমর্থনে ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল প্রস্তাব পুতিনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনের কিছু অংশ দখলের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবে ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল পুরোপুরি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যাবে এবং আরও দুটি আংশিক দখলকৃত অঞ্চলে রুশ সেনাদের অবস্থান বজায় থাকবে। ট্রাম্প এ পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।
সূত্র জানায়, পুতিন চান ইউক্রেন দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিক। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ নিয়ে গঠিত এ অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। শনিবার (১৬ আগস্ট) ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও কয়েকজন ইউরোপীয় শীর্ষ নেতার সঙ্গে ফোনালাপে এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে শুক্রবার তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইউক্রেনের সংবিধান কোনো ভূখণ্ড ছাড়ার অনুমতি দেয় না। তিনি বলেন, “দনবাস ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।” যদিও তিনি ট্রাম্প ও পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনার দ্বার খোলা রাখার কথা উল্লেখ করেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ইউরোপীয় দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে ইউক্রেনের কিছু অংশ রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। ট্রাম্পও তাতে সম্মতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, তার শর্ত পূরণ হলে রুশ সেনারা অগ্রসর হবে না। ট্রাম্পও শনিবার ফোনালাপে জেলেনস্কিকে একই বার্তা দিয়েছেন।
এএফপি জানায়, রাশিয়ার দাবি মেনে নিলে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে সেনা অগ্রযাত্রা বন্ধ করবে মস্কো। এর ফলে আংশিক যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু নির্ভর করছে পুতিনের অবস্থানের ওপর।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনে আক্রমণের কয়েক মাস পর রাশিয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া দখলের দাবি করে। তবে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বর্তমানে রাশিয়া লুহানস্কের প্রায় পুরোটা ও দোনেৎস্কের অধিকাংশ দখলে রেখেছে, কিন্তু খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার মূল নগরীগুলো এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়।



