বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের কাছে ৩০৪ মিলিয়ন ডলার পাওনা আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের কাছে ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দেশটির সরকারি অডিটে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তানি সম্প্রচারমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কূটনৈতিক ও সরকারি নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই ঋণ আদায়ের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে। পাকিস্তানের সরকারি নথি অনুযায়ী, যেসব দেশ এই ঋণ পরিশোধ করেনি তাদের মধ্যে রয়েছে—শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরাক, সুদান এবং গিনি-বিসাউ।
১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে এসব দেশকে মূলত বাণিজ্য প্রকল্প ও সরবরাহ খাতের জন্য রফতানি ঋণ হিসেবে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানি মুদ্রায় এই অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন রুপি ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ, ২৩১.৩ মিলিয়ন ডলার, পাওনা রয়েছে ইরাকের কাছে। সুদানের কাছে রয়েছে ৪৬.৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশের কাছে ২১.৪ মিলিয়ন (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬০ কোটি টাকা), এবং গিনি-বিসাউয়ের কাছে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার। অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল চিনি কারখানা ও সিমেন্ট প্রকল্পের জন্য।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে পাকিস্তানের অডিটর জেনারেলের অফিস প্রথম এই সমস্যাটি চিহ্নিত করলেও এরপর থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্থ পুনরুদ্ধার হয়নি।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র দফতর, কূটনৈতিক চ্যানেল এবং যৌথ মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। খেলাপি দেশগুলোকে স্মারক পত্র ও চাহিদা নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় অডিট কর্মকর্তারা সুপারিশ করেছেন, ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করতে বিষয়টি সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। তারা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়তার ফলে রুপির অবমূল্যায়নের কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে।



