Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

টিউলিপ সিদ্দিক এখনও বাংলাদেশের নাগরিক, দুদকের দাবি

Icon

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৪ এএম

টিউলিপ সিদ্দিক এখনও বাংলাদেশের নাগরিক, দুদকের দাবি

টিউলিপ সিদ্দিক

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিক এখনো বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, টিউলিপ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তার ঠিকানা, একাধিক পাসপোর্ট এবং ভোটার তালিকায় নামসহ সব প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সরকারের একাধিক সংস্থাও এসব নথির কপি থাকার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে টিউলিপ এসব দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। ২০১৭ সালে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘আমি ব্রিটিশ, বাংলাদেশি নই।’

টিউলিপের আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউডের মুখপাত্র এসব নথির অস্তিত্ব অস্বীকার করে বলেন, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না এবং শৈশবের পর থেকে তিনি কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেননি।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, তার নাগরিকত্বের প্রশ্নটি বাংলাদেশের আইনে বিচার প্রক্রিয়ায় সরাসরি প্রভাব ফেলবে না। তবে বিচার শুরুর আগমুহূর্তে এ বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

দুদক টিউলিপ, তার মা, খালা ও দুই ভাই-বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, তারা ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। সংস্থাটির দাবি, যোগ্যতার শর্ত এড়াতে টিউলিপ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছেন।

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে কর্তৃত্ববাদ, ভোট কারচুপি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছিল প্রবল। গত বছর ছাত্রনেতৃত্বাধীন আন্দোলনে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরপর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার পরিবার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করে।

টিউলিপের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার চলছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি, কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি। এমনকি আমার আইনজীবীরা আইনসিদ্ধভাবে জানতে চাইলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং হয়রানি ও প্রহসন।’

দুদক জানায়, সিদ্দিকের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় উল্লিখিত ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত দল সেখানে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও নিশ্চিত করেছে, তার জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে—যদিও এটি নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।

টিউলিপ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিরোধীদের দমন করছে, আর তিনিও তার শিকার।

সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন