ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র এনেছে সৌদির জাহাজ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
ছবি- সংগৃহীত
ইতালির জেনোয়া বন্দরে সৌদি আরবের জাতীয় জাহাজ কোম্পানি বাহরির একটি জাহাজ আটকে দিয়েছেন বন্দরের কর্মীরা, যার ভেতরে ইসরায়েলগামী অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকার অভিযোগ উঠেছে। ‘বাহরি ইয়ানবু’ নামের জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকে এসে জেনোয়ায় ভেড়ে। জাহাজটির উদ্দেশ্য ছিল আবুধাবিতে অস্ত্র সরবরাহ, তবে বন্দরের কর্মীরা জানতে পারেন, এতে আগে থেকেই অস্ত্র বোঝাই ছিল, যার কিছু অংশ ইসরায়েলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।
জেনোয়ার অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়নের সদস্য জোসে নিভোই বলেন,“আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না।” তিনি জানান,বন্দরের প্রায় ৪০ জন কর্মী জাহাজে প্রবেশ করে অস্ত্রের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। এরপরই তারা জাহাজটি আটকে দেন এবং অস্ত্রচোরাচালান বন্ধে স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠনের দাবি জানান।
এর আগে ২০১৯ সালেও একই বন্দরে বাহরির একটি অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকে দেওয়া হয়েছিল। এবারও বন্দরের শ্রমিকরা যুদ্ধবিরোধী অবস্থান থেকে প্রতিবাদে অংশ নেন। ইতালির আইন ১৮৫/৯০ অনুযায়ী, যুদ্ধরত দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ—এই আইনের ভিত্তিতেই কর্মীরা তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এদিকে, বাহরি কোম্পানি ইসরায়েলে অস্ত্র পরিবহনের অভিযোগকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। কোম্পানির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা কখনও ইসরায়েলে কোনো পণ্য পরিবহন করেনি এবং তাদের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিবিধানের পূর্ণ সম্মতির অধীনে পরিচালিত হয়। বাহরি আরও জানায়, তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দরের কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেই বন্দরের কর্মীরাইসরায়েলগামী অস্ত্র উপকরণ লোড করতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে সংশ্লিষ্ট জাহাজটি খালি অবস্থায় ফিরে যায়।
আরএস/



