মেঘালয়ে পাঁচ বাংলাদেশি আটক, বললেন ‘আমরা শেখ হাসিনার দল করতাম’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গত শনিবার ও রবিবার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নিজেদের আওয়ামী লীগ কর্মী এবং একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘শিলং টাইমস’ ও ‘হাইল্যান্ড পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট রাতে মেঘালয়ের রংদাংগাই গ্রামের বলসরাং এ. মারাক নামের এক যুবকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে অপহরণ করে একটি সশস্ত্র দল। এরপর পুলিশ, বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের যৌথ অভিযানে সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে শনিবার চারজন এবং রবিবার একজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম (২৫), মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন, কুমিল্লার মাহফুজ রহমান এবং সুনামগঞ্জের মোবারক মিয়া। মারুফুর রহমান নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছেন। মোবারক মিয়াকে রবিবার সকালে খোঞ্জয় এলাকার গিলাগোড়া গ্রাম থেকে গ্রামবাসীদের সহায়তায় আটক করা হয়। তিনি ছিলেন অভিযুক্ত দলের সর্বশেষ সন্দেহভাজন।
আটকের সময় ধারণ করা বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনজনের হাত বাঁধা, কারও গায়ে ছেঁড়া গেঞ্জি, কারও গায়ে জামা নেই এবং তাদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট। ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, “আমরা শেখ হাসিনার দল করতাম। অবৈধ সরকার এদেশে চলে এসেছে…” বাকিটা অস্পষ্ট হয়ে যায় চারপাশের কথোপকথনের কারণে।
অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবলের একটি পরিচয়পত্র, হাতকড়া, পিস্তলের হোলস্টার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র, বাংলাদেশি মুদ্রা ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হাইল্যান্ড পোস্ট’।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারতে পালিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।



