দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন শুল্কহার বর্তমানে পাকিস্তানে প্রযোজ্য, যা বর্তমানে ১৯ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ শতাংশ। সম্প্রতি শুল্কহার ২৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। বিশেষত জ্বালানি, খনিজ সম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে পাকিস্তানের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কম শুল্কহার পাকিস্তানের তৈরি পোশাক খাতের জন্য বড় সুবিধা এনে দেবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের মোট রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনামের তুলনায় পাকিস্তান এখন তুলনামূলকভাবে কম শুল্কের সুবিধা পাচ্ছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক উষ্ণতা পেয়েছে। এমনকি চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করে।