Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কবিরতি আপাতত বহাল, মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন ট্রাম্প

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:১৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কবিরতি আপাতত বহাল, মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন ট্রাম্প

ছবি - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা ৯০ দিনের শুল্কবিরতি আরও বৃদ্ধি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। বিশ্বের এ দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে সুইডেনের স্টকহোমে টানা দুইদিন ‘গঠনমূলক আলোচনা’ শেষে উভয়পক্ষ গতকাল মঙ্গলবার এ সম্মতিতে পৌঁছায়। তাদের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় হুমকি তৈরি করছে।

তবে এ আলোচনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১২ আগস্ট শেষ হতে যাওয়া শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে, নাকি চীনের ওপর তিন অঙ্কের হারে আবার শুল্ক কার্যকর হবে— সে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্প শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানাবেন— এমন আশঙ্কার কোনো ভিত্তি আপাতত নেই।

আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘বৈঠক খুব গঠনমূলক হয়েছে। শুধু চূড়ান্ত অনুমোদন (সম্মতির বিষয়ে) এখনো দেওয়া হয়নি।’

স্কটল্যান্ড সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে ফিরে তিনি জানান, বেসেন্ট তাঁকে চীনের সঙ্গে আলোচনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন।

কয়েক মাস ধরে বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে আসার পর ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। কিন্তু চীনের শক্তিশালী অর্থনীতি ও বিশ্বে বিরল খনিজের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কারণে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা বিশেষভাবে জটিল হয়ে উঠেছে।

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন— দুই পক্ষ একে অপরের ওপর তিন অঙ্কের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে (অর্থাৎ শুল্কবিরতি হয়)। এ শুল্ক কার্যকর হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতো। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো চুক্তি না হলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ও অর্থবাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
আজ বুধবার ওয়াশিংটনে ফিরে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান বেসেন্ট। তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট নিজেই সময়সীমা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, আরও ৯০ দিনের জন্য সময়সীমা বাড়ানো (সংকট এড়ানোর) একটি বিকল্প হতে পারে।

স্টকহোমে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আলোচনার পর গ্রিয়ার বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং ইতিবাচক প্রতিবেদন নিয়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। তবে শুল্কবিরতির সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই নেবেন।’

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন