Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শান্তি আলোচনার জন্য মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার নেতারা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

শান্তি আলোচনার জন্য মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার নেতারা

ছবি - থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা

সীমান্ত সংঘাত থামানো ও অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে মালয়েশিয়ায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা। আজ সোমবার এই শান্তি আলোচনায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রও অংশগ্রহণ করবে।

মালয়েশিয়ার সংবাদ সংস্থা বারনামার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্যাংকক ও নমপেনের অনুরোধে এ শান্তি আলোচনায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সভাপতিত্ব করবেন।

এএফপির বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, এই আলোচনায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করবেন।

থাইল্যান্ডের সরকার বলেছে, তারা আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারের দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়ার আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, আলোচনার সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, সঙ্গে চীনও থাকছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার দুই সরকারপ্রধানই বিরোধ মেটাতে চান।

রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেছেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই সংঘাতের শেষ দেখতে চাই। শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামদ হাসান সংবাদ সংস্থা বারনামাকে জানান, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে সোমবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ায় যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ বেশ পুরনো। এ নিয়ে মাঝেমাঝে ছোটখাটো সংঘাতও হয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসের শেষদিকে তেমনই এক সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হওয়ার পর ব্যাংকক ও কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। দুই দেশই সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করতে শুরু করে। দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটলও এতই চওড়া হয় যে, এর প্রভাবে থাইল্যান্ডের নড়বড়ে জোট সরকার ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। উত্তেজনার একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার শুরু হয় সীমান্তজুড়ে পাল্টাপাল্টি হামলা। পরে তা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ে রূপ নেয়।

প্রতিবেশী এ দুই দেশের সংঘাত এরই মধ্যে ৩০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে, এর মধ্যে ২০ জনই বেসামরিক। দুই দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত বেধে যাওয়ার পরপরই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান। এ নিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনও আলোচনায় সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়। থাইল্যান্ড এতদিন বলে আসছিল, তারা অস্ত্রবিরতির পক্ষে নীতিগতভাবে একমত। তবে আলোচনা হতে হবে দ্বিপাক্ষিক। অন্যদিকে কম্বোডিয়া আলোচনায় আন্তর্জাতিক মহলের সম্পৃক্ততা চাইছিল।

আনোয়ার বলেছেন, দুই দেশের সরকারের প্রতিনিধিরা তাকে আলোচনায় সভাপতিত্ব করার অনুরোধ জানিয়েছেন। যে কারণে আজ সোমবার তাকে এই দায়িত্বে দেখা যাবে।


Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন