থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে এবং তারা দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন।
রোববার (২৭ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের এই ঘোষণা তুলে ধরা হয়। শনিবার স্কটল্যান্ডের ব্যক্তিগত গলফ রিসোর্ট সফরের শুরুতে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ লেখেন, “উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে।”
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চায় থাইল্যান্ড।
গত ২৪ জুলাই শুরু হওয়া গোলাগুলিতে ৩৩ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, এবং হাজারো মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।
ট্রাম্প বলেন, এই সংঘাত চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বাণিজ্য চুক্তিতে ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র এই দুই দেশ থেকে আমদানি পণ্যে ৩৬ শতাংশ কর আরোপ করতে যাচ্ছে।
যদিও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন, তবুও ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখান।
কাম্বোডিয়া এর আগেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ট্রাম্প জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
এদিকে দুই দেশ একে অপরকে সংঘাতের জন্য দোষারোপ করছে। থাই কর্তৃপক্ষের দাবি, কম্বোডিয়া সীমান্তে ড্রোন নজরদারি চালানোয় উত্তেজনা শুরু হয়। আর কম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাই সেনারা পূর্ব চুক্তি লঙ্ঘন করে একটি খেমার-হিন্দু মন্দির অভিমুখে অগ্রসর হয়েছে।
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার এই সীমান্ত বিরোধের শিকড় এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো, যা ফরাসি উপনিবেশ আমলে সীমানা নির্ধারণকে ঘিরে শুরু হয়েছিল।



