ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
ছবি - সংগৃহীত
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি ডলারের (১০ বিলিয়ন) মানহানি মামলা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারাগারে আত্মহত্যা করা বহুল আলোচিত উচ্চবিত্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে তাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ দাবি করে শুক্রবার ফ্লোরিডার সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ফেডারেল আদালতে মামলাটি করেন ট্রাম্প।
মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প জেফরি এপস্টেইনকে অশ্লীল চিঠি ও এক নগ্ন নারীর স্কেচ পাঠানোর অভিযোগে করা প্রতিবেদনকে ‘মানহানিকর ও বানোয়াট’ দাবি করে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সংবাদমাধ্যমটির মালিক মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক এবং দুই প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন। খবর-বিবিসি।
মামলায় বলা হয়, জেফরি এপস্টেইনকে ২০০৩ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি জন্মদিনের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়, ওই কার্ডে যৌন উত্তেজনাকর ছবি এবং গোপনীয় কথা লেখা ছিল, যা সম্পূর্ণ ভুয়া। তাদের ওই প্রতিবেদনের কারণে প্রেসিডেন্টের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুনামও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মামলায় ট্রাম্প অভিযোগ এনেছেন- ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দুই প্রতিবেদক বিদ্বেষপ্রসূত উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেছেন, যা তার ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি ও সুনামহানি ঘটিয়েছে।
মামলা আগে শুক্রবার সকালে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘রুপার্ট মারডক ও তার ‘আবর্জনার স্তূপ’ সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে আমার মামলায় তাকে সাক্ষ্য দিতে দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এটি একটি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা হবে।
জবাবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক প্রতিষ্ঠান ডাও জোনস বলেছে, তারা ট্রাম্পের এই আইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ‘জোরালোভাবে আত্মরক্ষা’ করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১৯৯০-এর দশকে ও ২০০০-এর দশকের শুরুতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এপস্টিনের সঙ্গে একাধিকবার ছবি তুলতে দেখা গেছে। ২০১৯ সালে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এপস্টিনের আইনি সমস্যা স্পষ্ট হওয়ার আগেই তিনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এপস্টিনের এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের স্বাক্ষরযুক্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সংবাদপত্রটি বলে, চিঠিতে একজন নারীকে নিয়ে হাতে লেখা একটি অশ্লীল বার্তা ছিল। ওই বার্তায় হয়েছিল, ‘শুভ জন্মদিন- এবং প্রতিটি দিন হোক আরও একটি চমৎকার গোপন রহস্য।’ চিঠিতে ‘ডোনাল্ড’ নামে স্বাক্ষর করা ছিল। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এপস্টিনকে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার করে সংবাদপত্রটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি জেলখানায় এপস্টিন আত্মহত্যা করেন। তবে অনেকেই মনে করেন তিনি আত্মহত্যা করেননি। সরকার ধনী ও ক্ষমতাধরদের সঙ্গে এপস্টিনের সম্পর্ক ধামাচাপা দিচ্ছে। ৭ জুলাই প্রকাশিত বিচার বিভাগের একটি মেমোতে বলা হয়, এপস্টিন আত্মহত্যাই করেছিলেন।



