ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজের আগে ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প বলেন, “আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি ইউক্রেনে। আমাদের এটা করতেই হবে। ইউক্রেন খুবই তীব্রভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত সপ্তাহেই ট্রাম্প প্রশাসন সাময়িকভাবে ইউক্রেনে নির্ধারিত সামরিক চালান স্থগিত করেছিল, যা নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু নতুন এ সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
হোয়াইট হাউসের উপ-প্রেস সচিব আনা কেলি বলেন, “এই সিদ্ধান্তে আমেরিকার স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।” পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল জানান, “স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইউক্রেন যাতে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিদেশে সামরিক সহায়তার বিষয়টি মূল্যায়ন চালিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইউক্রেনের জন্য ‘প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র’ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প নিজের ‘গভীর হতাশা’ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালানোর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটির প্রধান সামরিক সহায়তাকারী হিসেবে সক্রিয়। ড্রোন, রকেট লঞ্চার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার, ট্যাঙ্কসহ বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করেছে তারা। তবে এই সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অস্ত্র মজুদের ওপর চাপ ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চলতি মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর সাময়িকভাবে সামরিক সহায়তা স্থগিত করা হলেও, এক সপ্তাহের মধ্যেই তা আবারও পুনরায় চালু হয়।



