
প্রিন্ট: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৭ এএম
গাজায় ‘আত্মঘাতী গুলিতে’ ৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৮ এএম

ছবি - সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান স্থল অভিযানে ‘ভুলবশত’ ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে (ফ্রেন্ডলি ফায়ার) তাদের ৩১ সেনা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর শুক্রবার লিখেছে, স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ৪৪০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৭২ জন নিহত হয়েছে নিজেদের অভিযানের সময় দুর্ঘটনায়, যা মোট মৃত্যুর ১৬ শতাংশ।
অভিযানের সময় ঘটা দুর্ঘটনায় নিহত ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে ৩১ জন নিজেদের ছোড়া গুলিতে, গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় ২৩ জন, সাঁজোয়াযানের চাকায় পিষে সাতজন আর অজানা গুলির ঘটনায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পুনরায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে তাদের ৩২ সেনা নিহত হয়েছে, এর মধ্যে অভিযান সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে।
আর্মি রেডিও বলছে, আরও পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায়। যেমন প্রকৌশল যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসাবধানতা ও পড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। যদিও এর বেশি বিস্তারিত বলা হয়নি প্রতিবেদনে।
মিডল ইস্ট মনিটর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পরিসংখ্যানে বরাতে বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আক্রমণ শুরুর পর থেকে তাদের ৮৮২ সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৬ হাজার ৩২ জন।
গাজায় সংঘাত বন্ধে গত জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সেসময় বন্দি বিনিময়ও হয়। কিন্তু মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর গাজায় ফের অভিযানে নামে ইসরায়েল।
এখন আবারও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদের এমন প্রতিক্রিয়াকে ‘ভালো’ মন্তব্য করে প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প; তার আশা ‘আগামী সপ্তাহেই’ হতে পারে গাজা চুক্তি।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবে, ইসরায়েলের চালানো গণহত্যায় এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
যুদ্ধাপরাধ ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে।