মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ধ্বংস হয়নি ইরানের পরমাণু কেন্দ্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১০:৪১ এএম
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ)। পেন্টাগনের গোপন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা স্থায়ী নয়, সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে।
হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ডিআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূগর্ভস্থ গবেষণা ল্যাব ও সেন্ট্রিফিউজ ইউনিটগুলো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অধিকাংশই পুনরায় চালু করার মতো অবস্থায় রয়েছে। হামলার আগে ইরান তাদের অধিকাংশ ইউরেনিয়াম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলায় স্থায়ী ক্ষতি হয়নি।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স স্বীকার করেন, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানায়, ৪০০ কেজি ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই।
এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ হামলাকে “সফল” দাবি করলেও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রধান জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, তিনটি কেন্দ্রই আঘাতপ্রাপ্ত হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে—এমনটি বলা যাচ্ছে না।
ডিআইএর প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না দিলেও প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, এই তথাকথিত ফাঁস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন পাইলটদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।
ডেমোক্র্যাট সিনেটররা প্রশ্ন তুলেছেন, কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে পরিচালিত অভিযানে যদি কেবল সময় কেনা হয়, তবে তা সামরিক কৌশলের ব্যর্থতা। অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে, তারা ভয় পায়নি এবং দ্রুত পারমাণবিক প্রকল্প পুনরায় চালু করবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা কৌশলগত নয়, বরং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের একটি প্রচেষ্টা মাত্র।
আরও বিশ্লেষণ বা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি—চলুন একসাথে খুঁটিয়ে দেখি।



