
প্রিন্ট: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৬ এএম
১২৫টি বিমান দিয়ে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

ছবি- সংগৃহীত
নিশ্ছিদ্র গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে ইরানের অভ্যন্তরে একটি বড়সড় সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অপারেশন মিডনাইট হ্যামার নামে পরিচিত এই অভিযানে মার্কিন সামরিক বাহিনী ১২৫টিরও বেশি বিমান ব্যবহার করে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে: ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানে ব্যবহার করা হয় আধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান। প্রতিটি বিমানে ছিল দুটি করে ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাংকার বিধ্বংসী বোমা, যা অত্যন্ত সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়াও, যুদ্ধবিমান, নজরদারি উড়োজাহাজ এবং জ্বালানি সরবরাহকারী ট্যাংকারও এই অভিযানে অংশ নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক বার্তায় হামলার সাফল্যের দাবি করেন এবং জানান যে সমস্ত বিমান নিরাপদে ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
এই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায় ইরান। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলকে অভিযানের অংশীদার হিসেবে দায়ী করেন এবং বলেন, “জায়োনিস্ট শত্রু একটি বড় ভুল করেছে, তারা শাস্তি পাচ্ছে এবং এই শাস্তি চলতেই থাকবে।”
খামেনি তার বার্তার সঙ্গে একটি প্রতীকী ছবি শেয়ার করেন যেখানে একটি জ্বলন্ত ভবনের সামনে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি খুলিতে ডেভিড তারকা আঁকা ছিল, যা ইসরায়েলের প্রতীক।
এই পরিস্থিতির পটভূমি আরও জটিল হয়ে ওঠে ১৩ জুন তারিখে ইসরায়েল কর্তৃক ইরানে চালানো হামলার পর, যেখানে বিভিন্ন সামরিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও আবাসিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরাও রয়েছেন।
জবাবে, ইরান “অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি”-এর অধীনে ইসরায়েলের ওপর ২১ দফা পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
আরএস/