
প্রিন্ট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:২০ এএম
ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোকে ইরানের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১১:১৭ এএম

ছবি : সংগৃহীত
চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কেন্দ্রীয় সদর দফতর ‘খাতাম আল-আম্বিয়া’। ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিমের বরাতে জানা গেছে, এসব দেশকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে তারা ইরানি বাহিনীর বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।
২১ জুন সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইরান জানায়, বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও ব্যয়বহুল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে তাদের রাডার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সহায়তা পাচ্ছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আকাশ বা সমুদ্রপথে ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা মানেই ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ইরানের বৈধ প্রতিশোধের আওতায় আসবে।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যাতে ৪০০ জনের বেশি নিহত হন। এর জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩’-এর আওতায় ২১ জুন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এ হামলার ঘোষণা দেন, যা ইসরায়েলি নেতৃত্বের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জন্ম দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই শান্তির বার্তা ‘নো মোর ওয়ার’ স্লোগানে ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ এবং ইরানের হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এখন দেখার বিষয়, ইরান তাদের ঘোষণাকে কতটা বাস্তবায়ন করে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হয়। বিশ্ববাসী উদ্বেগভরে তাকিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটময় পরিস্থিতির দিকে।