
প্রিন্ট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:১২ এএম
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator In Bangladesh শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। এর আওতায় Starlink Services Bangladesh নির্ধারিত ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। গত ২১ এপ্রিল ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্তের পর আজ লাইসেন্স প্রদান করা হলো।
স্টারলিংকের আগমন বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকার পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্টারলিংক সেবার আওতায় আসছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে জনগণের দাবির প্রতিফলন হিসেবে স্টারলিংককে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়া দুর্গম ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানোর লক্ষ্যও ছিল।
স্টারলিংক সেবার মাধ্যমে লোডশেডিংয়ের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার সমস্যা থাকবে না। মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ শেষ হলেও স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ পাবেন।
বাংলাদেশের ফাইবার নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা এবং মোবাইল ইন্টারনেটের কাভারেজ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে স্টারলিংক। দেশের অন্তত ৬৫% টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজড নয়, যেখানে মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তি সীমিত গতিতে কাজ করছে। স্টারলিংকের সংযোগে এসব বাধা দূর হবে।
স্টারলিংকের আগমন মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খাতে প্রতিযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি করবে। এর ফলে ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন পরিবর্তন আসবে, যেখানে ভয়েস কল ও ডেটা বান্ডেল পরিষেবা নতুন রূপে গঠিত হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, "স্টারলিংক পরিষেবার মাধ্যমে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত হবে। প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।"
স্টারলিংকের এই যাত্রা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যা ডিজিটাল উন্নয়নের পথে বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।