ছবি : সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চাকরি খোঁজার নতুন প্ল্যাটফর্ম চালুর ঘোষণা দিয়েছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই। ‘ওপেনএআই জবস প্ল্যাটফর্ম’ নামের এই সেবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি চালু হবে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি চাকরিপ্রার্থী ও কোম্পানির মধ্যে দক্ষতা ও চাহিদার সঠিক সংযোগ তৈরি করবে।
ওপেনএআইয়ের অ্যাপ্লিকেশন বিভাগের সিইও ফিদজি সিমো এক ব্লগ পোস্টে জানান, ছোট ব্যবসা ও স্থানীয় সরকারি সংস্থার জন্য আলাদা বিভাগ থাকবে, যেখানে এআই-দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ ওপেনএআইকে সরাসরি লিংকডইনের প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে। বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান ওপেনএআইয়ের প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের একজন ছিলেন। অন্যদিকে, লিংকডইনের মালিক মাইক্রোসফটই আবার ওপেনএআইয়ের প্রধান বিনিয়োগকারী। ফলে একই সঙ্গে অংশীদার ও প্রতিযোগীর সম্পর্ক তৈরি হলো।
ওপেনএআই বর্তমানে চ্যাটজিপিটির বাইরে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। সিইও স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, জবস প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও একটি ওয়েব ব্রাউজার ও সামাজিক নেটওয়ার্কিং অ্যাপ নিয়ে কাজ চলছে। এছাড়া, কর্মীদের এআই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ‘ওপেনএআই একাডেমি’ চালু করা হচ্ছে, যেখানে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম শুরু হবে। ওয়ালমার্টের সহযোগিতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি আমেরিকানকে এআই-দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্য রয়েছে।
এসব উদ্যোগ মার্কিন হোয়াইট হাউসের এআই সাক্ষরতা কর্মসূচির অংশ। এ বিষয়ে শিগগিরই ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যানসহ অন্যান্য প্রযুক্তি নেতারা হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তবে এআই-নির্ভর চাকরি বাজার নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। অ্যানথ্রোপিকের সিইও দারিও আমোডেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক এন্ট্রি-লেভেল চাকরি হারিয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে ফিদজি সিমো বলেন, পরিবর্তন অনিবার্য হলেও ওপেনএআইয়ের দায়িত্ব হলো মানুষকে অভিযোজনে সহায়তা করা, এআই দক্ষতা শেখানো এবং সেসব দক্ষতাকে সঠিক কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করা।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও টেকক্রাঞ্চ



